হন্তদন্ত ঘর্মক্লান্ত হয়ে কলেজ থেকে ফিরল প্রিহান। ঘরে ঢুকেই সে দেখতে পেল হালকা গোলাপি সেলোয়ার কামিজ পরা সুন্দর একটি মেয়ে বালতির জলে কাপড় ভিজিয়ে জল নিংড়ে তার কম্পিউটার টেবিল মুছে মুছে পরিষ্কার করছে।
অবাক হয়ে গেল সে অচেনা মেয়েটিকে দেখে। বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করল, এই মেয়ে তুমি আমার ঘরে? কে তুমি? সাহস তো কম নয়, আমার টেবিলে হাত দিয়েছ?
অপ্রস্তুত থতমত খেয়ে মেয়েটি একপাশে সরে গিয়ে লজ্জায় ভয়ে আড়ষ্টা হয়ে বলল, আমি চম্পা। আমি...আমি..
‘কী আমি? তুমি এখানে কেন?
‘জেঠিই তো বলল আপনার ঘরটা পরিষ্কার করে দিতে।
‘কোন জেঠি?’ আবার ধমকে উঠল প্রিহান।
‘জেঠি...এই বাড়ির জেঠি!
‘হায় কৃষ্ণ! কে জেঠি, কার জেঠি? এ বাড়িতে জেঠি এল কোত্থেকে?’ বলতে বলতে প্রিহান ডুপ্লেক্স বাড়ির নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে রেলিংয়ে এসে উঁকি দিয়ে হেঁকে উঠল উঠল, ড্যাড..ড্যাড..
‘তোমার ড্যাড তো এখন বাড়িতে নেই। এইমাত্রই লাঞ্চ সেরে বেরিয়ে গেলেন। মুম্বাই থেকে কে যেন এসেছেন, জরুরি মিটিং আছে।’ নিচের হলঘর থেকে ওপরের দিকে তাকিয়ে বললেন চৈতী।
প্রিহান আর কিছু জিজ্ঞেস না করে আবারও ফিরে যাচ্ছিল নিজের ঘরে।
চৈতী জিজ্ঞেস করলেন, ড্যাডিকে কেন খুঁজছ আমায় বলা যায় না?
‘আন্টি আমার ঘরে একটি মেয়ে পড়ার টেবিলে হাত দিয়েছে! মেয়েটি কে? ও এখানে কি করছে?
‘ও.. এই কথা? ওই মেয়েটি চম্পা। আজ থেকে আমাদের বাড়িতে নতুন কাজে ঢুকেছে। সাবিত্রী মাসি ওকে নিয়ে এসেছে। আমিই ওকে বলেছি তোমার ঘরটা পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্যে।...তা অত রাগ কেন করছ? ও তোমার পড়ার টেবিলের কি কিছু নষ্ট করে ফেলেছে?
‘হায় কৃষ্ণ! না না নষ্ট কিছু করেনি। আমার ঘরে পারমিশন ছাড়া কেউ ঢোকার সাহস পায় তো, তাই জিজ্ঞেস করছিলাম। আর তাছাড়া হঠাৎ আজ নতুন মুখ দেখলাম তো? ও.কে. এবার বুঝলাম।
চৈতী জিজ্ঞেস করলেন, তুমি লাঞ্চ করবে তো, নাকি আজকেও খেয়ে এসেছ?
‘না না খেয়ে আসিনি। তুমি রেডি করো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
প্রিহান ঘরে ফিরে এসে দেখে চম্পা জড়সড় হয়ে তখনও দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে।
‘হায় কৃষ্ণ! ঘর গোছানো, টেবিলে মোছা তোমার হয়ে গেছে? আর বলি কি, ভেজা ন্যাকড়া দিয়ে কম্পিউটারের কি-পেড মোছোনি তো?’ জিজ্ঞেস করল প্রিহান।
চম্পা কিছু না বলে মাথা হেলিয়ে বোঝালো, হাঁ।
‘হায় কৃষ্ণ! ভেজা ন্যাকড়া দিয়ে কি-পেড মুছেছ?
'না না ভেজা ন্যাকড়া দিয়ে কি-পেড মুছিনি!' ব্যস্ত হয়ে বলল চম্পা।
'তাহলে দাঁড়িয়ে আছো কিসের জন্যে? নাও গেট লস্ট!
চম্পা তবুও জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
‘হায় কৃষ্ণ! আমি যেতে বলছি তোমাকে। এবার তুমি দয়া করে এই ঘর থেকে যাও।
বলে হাতজোড় করল প্রিহান।
চম্পা দৌড়ে দোতালার সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এল। নেমে ছুটে গিয়ে ঢুকল সদর দরজার পাশে সাবিত্রীর ঘরে। সাবিত্রী তখন সবে মাত্র একটা পান মুখে দিয়েছেন।
হাঁপাচ্ছিল চম্পা। বুকে হাত দিয়ে নিজে নিজেই বলছিল, হায় কৃষ্ণ! একেবারে সত্যি সত্যি যেন কৃষ্ণ, না না কংস! অবশ্য গায়ের রং অনেকটা কৃষ্ণের মতোই।
‘কী বলছিস? কিসের কৃষ্ণ? কে কংস? আর এত হাঁপাচ্ছিসই বা কি জন্যে?
‘আর বলো না! কথায় কথায় শুধু বলে হায় কৃষ্ণ..হায় কৃষ্ণ! কিন্তু নিজে কৃষ্ণ তো নয়, যেন কংস!
‘ও বুঝেছি, তুই কর্তাবাবুর ছেলে প্রিহানভাইয়ের কথা বলছিস তো? ও বোধহয় এখনই কলেজ থেকে ফিরেছে।
‘কি বললে, প্রিহান? এ আবার কি রকম নাম? ওর নাম কংস হলে খুব ভালো মানাতো গো।
‘এই চুপ! একেবারে কান মলে দেব। কাকে কি বলতে হয় এখনও ভালো করে কিচ্ছু শিখিসনি? তোকে নিয়ে যে আমি কি করব?’ মৃদু বকুনি দিলেন সাবিত্রী।
মুখ ভার করার ভান করে চুপ হয়ে গেল চম্পা। বসে পড়ল সাবিত্রীর পাশের খাটের বিছানার ওপরে। এই খাটটাই বরাদ্দ হয়েছে আজ থেকে তার জন্যে। দেববাড়িতে যোগ দিতে আসা নতুন কাজের মেয়ে এই চম্পাবতীর জন্যে বরাদ্দ এই খাটের বিছানার ওপরেই আজ থেকে শুরু হবে তার রাত্রিযাপন। জীবনে এই প্রথম বাড়ির বাইরে শুরু হল তার রাত যাপনের পালা। এই বাড়ির নাকি এটাই রেওয়াজ। স্থায়ী কাজের লোককে এই বাড়িতে থেকেই নাকি কাজ করতে হয়।
চম্পা সাবিত্রীকে অনেকদিন থেকেই বলছিল ভালো কোনও একটা বাড়িতে কাজ ঠিক করে দেওয়ার জন্যে।
তাই সাবিত্রী দিদা কাল যখন তাকে বলল, দেব বাড়িতে তোর জন্য ভালো একটা কাজ ঠিক করেছি। থাকা খাওয়া দাওয়া দিয়েও ওনারা ভালো একটা টাকাও হাতে দেবেন। আর যেটুকু দেবেন তাতে তোদের মা মেয়ের কষ্টের এই জীবন কিছু হয়তো ভালো কাটবে। আর তোকে তো প্রমাণও করতে হবে!
শুনে চম্পা আর দেরি করেনি। রাজি হয়ে গেছিল তখনি। তবে প্রশ্ন একটা করেছিল, কীসের প্রমাণ করতে হবে দিদা?
দিদা ব্যস্ত হয়ে জবাব দিয়েছিলেন, ওই আর কি, প্রমাণ।...ওই তুই ভাল কাজ করতে পারিস কিনা, কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে পারিস কিনা, এসবের প্রমাণ।
‘ও আচ্ছা..আচ্ছা।’ হেসে দিয়েছিল চম্পা, আমি তো ভাবছিলাম কীসের আবার প্রমাণ?
আর দেরি করেনি চম্পা, আজই চলে এসেছে এই দেববাড়ির কাজে যোগ দিতে।
এই দেববাড়ির কাজের লোক আর গেটের দুই দারোয়ান ও বাগান মালিদের জন্যে পর পর অনেকগুলো ঘর বানানো আছে। একেবারে বাগানের শেষের দিকে ফটকের প্রায় কাছেই পাশাপাশি দুটোঘরের একটা দারোয়ান বৈজনাথ আর ভিখুর থাকার জন্যে। আরেকটা ঘরে থাকে বাগান মালি বনমালী ও তার স্ত্রী। এদিকেও সদর দরজার বাইরে গাড়িবারান্দা লাগোয়া আরও চারখানা ঘর। দুটোঘর ফাঁকা, তালা লাগানো। মাঝের ঘর রান্নার ঠাকুর ভাগ্যধর আর স্ত্রী কালিন্দীর। আর সদর দরজার কাছাকাছি এই ঘর সাবিত্রী মাসির থাকার জন্যে। এতদিন তিনি এই ঘরে একাই ছিলেন। আজ থেকে চম্পাও তার সঙ্গী।
দেববাড়িতে চম্পার কাজ নির্দিষ্ট হয়েছে বিশেষ করে ঘরদোরগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও গুছিয়ে রাখা। প্রাসাদের মতো বিশাল এই দেববাড়ি। সামনে প্রশস্ত লন এবং লাগোয়া মস্ত একটা বাগান। অনেকগুলো ঘর বাড়ির ভেতরে। সাফ সাফাইয়ের জন্যে আলাদা ঠিকা কাজের লোকও নিয়োগ করা আছে। তাদেরকেও দেখেশুনে কাজ করানোর দায়িত্ব বর্তালো চম্পার ওপরে।
অনেক ভেবে দেখেছিল চম্পা। এছাড়া আর কোনও উপায়ও ছিল না তার। অন্য যেকোনও রকমের কাজের চেষ্টা করলে হয়তো সে পেয়েও যেতো। তখন হয়তো সারাদিনেই তাকে ব্যস্ত থাকতে হতো কাজ নিয়ে। আর অত ব্যস্ততার মধ্যে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে যেত।
সাবিত্রী দিদার কাছ থেকে এই বাড়ির জেঠি তার ব্যাপারে সমস্ত কিছুই শুনেছেন। সে যদি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় জেঠির নাকি কোনও আপত্তি নেই তাতে। আর দেববাড়িতে সারাদিনে তার দুইতিন ঘন্টা তো কাজ। এইটুকু কাজ সেরে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া, দৃঢ় বিশ্বাস সে পারবে। জেঠি তো বলেই দিলেন, পড়াশোনা চালিয়ে তোর যখন সময় হবে কাজগুলো করিস। কাজের জন্যে পড়ার ক্ষতি করিস না।
দেববাড়িতে এই কাজ করে আরও তো আরও মাকেও তো সে কিছু টাকা পাঠাতে পারবে।
প্রিহান দুপুরের খাওয়াদাওয়া সেরে আবারও সে উঠে গেল নিজের ঘরে। ঘরে ঢুকে নিজে নিজেই বলে উঠল, হায় কৃষ্ণ! সংযুক্তাকে ফোন করার কথা ছিল, ভুলেই গেছি!
সংযুক্তার নম্বরে ফোন করে মোবাইল কানে নিয়ে বিছানায় এলিয়ে পড়ল সে। রিং হয়েই যাচ্ছিল, ফোন তুলছিল না সংযুক্তা। আবারও ফোন করল প্রিহান। বারবার ফোন করেই যাচ্ছিল। তবুও সংযুক্তা নিরুত্তর। অবশেষে ফোন তুলল সংযুক্তা, এই শোন, তুই বারবার ফোন করছিস কেন? আমি এখন বিজি আছি।
‘তোর খুব রাগ হয়েছে বুঝি? তাই বিজি হয়ে গেছিস?
‘এই শোন, তোকে কখন ফোন করতে বলেছিলাম? ম্যাসেজেও করেছিলাম তোকে। মুভি দেখব বলে আইনক্সে দুটো টিকিটও কেটে রেখেছিলাম। শেষে আমিই তোকে ফোন করলাম, আউট অফ রিচ। কোথায় চলে গেছিলি? নতুন কোনও বান্ধবী কালেক্ট করে চিত্রপুরী জঙ্গলের দিকে বাইক হাঁকিয়েছিলি?
হেসে দিল প্রিহান, হায় কৃষ্ণ! না না চিত্রপুরী জঙ্গল নয়। গেছিলাম মায়াকাননের দিকে। ওখানে নির্জন জঙ্গলে ঘাসপাতার ওপর শুয়ে নতুন বান্ধবীর ভরাট বুকে বহুবার চুম্বন দিয়েছি।
‘তাহলে আর ফিরে এলি কেন? ওখানেই থেকে যেতি।
‘কি করব বল? বান্ধবীর ভরাট বাদামি রঙের বুকে এতবার চুম্বন দিয়েও তোর মতো আর পেলাম কই?'
‘এই অসভ্য কোথাকার! আজকাল খুব পাজি হয়েছিস তুই। শুধু বাজে বাজে কথা।'
হো হো করে হাসছিল প্রিহান।
'খুব মজা পেয়েছিস তাই না?' কপট রাগে বলল সংযুক্তা।
'মজা তো পেয়েছিই! আরও একদিন মজা পেতে খুব ইচ্ছে করে।
'এই চুপ! কান টেনে মারব এক থাপ্পড়।' আবারও কপট রাগে বলল সংযুক্তা, বিয়ের আগে ওসব এখন আর কিচ্ছু নয়। বিয়ের আগে আমার শরীরে আর টাচও করবি না তুই, বুঝলি বাবুমশাই?
'হায় কৃষ্ণ! বিয়ে? কার বিয়ে?' যেন আকাশ থেকে পড়ল প্রিহান।
'তুই কি ইয়ার্কি করছিস?'
'হায় কৃষ্ণ! ইয়ার্কি করব কেন? আই এম সিরিয়াস! হঠাৎ বিয়ের কথা আসছে কি জন্যে? তুই কবে বিয়ে করছিস?
'বিয়ে করছিস মানে? আমি যদি বিয়ে করি তো, তোকেও বিয়ে করতে হবে!
'হায় কৃষ্ণ! তোর বিয়ের ইচ্ছে হয়েছে তুই কর, আমায় কেন টানাটানি করছিস?
'মানে তুই কি বলতে চাইছিস? আমি কি তোর খেলনা পুতুল? যখন ইচ্ছে হল পুতুলের পোশাক খুলে নিবি, বিবস্ত্র পুতুলটিকে নিয়ে নিজের পছন্দ মতো খেলবি, আর এখন বিয়ের কথা শুনেই হায় কৃষ্ণ হায় কৃষ্ণ শুরু করেছিস? জিজ্ঞেস করছিস কার বিয়ে?' ক্ষুণ্ন সুরে বলল সংযুক্তা।
'এইরে তুই কি সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছিস? তুই কি সত্যিই আমাদের দুজনের বিয়ের কথা বলছিস?' জিজ্ঞেস করল প্রিহান।
'তাহলে আর কার বিয়ের কথা বলব? তুই ছাড়া আমার কি আরও কোনও বয়ফ্রেন্ড আছে?' অভিমানের সুরে বলল সংযুক্তা।
'থাকতেও পারে, সেটা আমি কি করে জানব?'
'উল্টোটাও তো হতে পারে? তোর অন্য কোন গার্লফ্রেন্ড আছে হয়তো, আমি জানি না।'
'শোন সংযুক্তা।' গম্ভীর হয়ে বলছিল প্রিহান, তুই ছাড়া আমার জীবনে দ্বিতীয় আর কেউ নেই। সেই ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি। মা আকাশের তারা হয়ে চলে যাওয়ার কিছুদিন পরেই বাবা ছোট মাসিকে বিয়ে করলেন। মায়ের সব স্মৃতি বাবা দুদিনেই মুছে ফেললেন। আমার সমস্ত রাগ ক্ষোভ গিয়ে পড়ল ছোট মাসির উপর। সেই থেকে কোনও মহিলাকে সহ্য করতে পারতাম না। কিন্তু তুই এসে আমার সব ধারণা পাল্টে দিলি। আমি তোকে ছাড়া বাঁচবো না রে সংযুক্তা। জীবনে যদি কোনওদিন কাউকে গ্রহণ করতেই হয় তবে তোকেই করব।
'সরি রে! আমার কথার জন্য তোর আজ মায়ের কথা মনে পড়ে গেল।
'হায় কৃষ্ণ! এতে সরির কি আছে? ভালোই তো অনেকদিন বাদে মায়ের কথা মনে পড়ল। ইতিহাসের ছাত্র তো আমি, অতীতগুলো বেশি মনে পড়ে যায়।…ও হাঁ, আজকাল কলেজে তোর সঙ্গে খুব একটা দেখা হয় না। কী ব্যাপার?
‘ফিজিক্সের ক্লাস নিয়ে খুব চাপে আছি। নতুন একজন প্রফেসর এসেছেন ভীষণ কড়া।
‘ও তোকে একটা কথা বলার ছিল। জানিস তো ড্যাডির খুব ইচ্ছে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করার পর আমাকে এমবিএ পড়ানোর। সেটাও এখানে নয়, বিদেশে। ড্যাডির ইচ্ছে এমবিএ শেষ করে আমাদের ফেমিলি বিজনেসে জয়েন করি। কিন্তু আমার তো তা একেবারেই ইচ্ছে নেই। আমার ইচ্ছে ইতিহাস নিয়ে জেএনইউ’তে পড়ব।’ বলল প্রিহান।
‘তোর মাথা!’ রেগে উঠল সংযুক্তা, তোর ড্যাডির ডিসিশনটাই তো ঠিক, একদম কারেক্ট! এরকম সুযোগ কেউ ছাড়ে? একেবারে সরাসরি বিদেশে গিয়ে এমবিএ পড়বি! তোর কথা যে কি বলব? তোর মাথায় মাঝে মাঝে কি ভূত যে চাপে? ইতিহাস পড়ে কি ছাতাটা হবে? তোদের এতবড় বিজনেস। কোথায় এমবিএটা কমপ্লিট করে বিজনেসের জন্যে নতুন নতুন আইডিয়া সেট করবি, তা না করে ইতিহাস নিয়ে পড়বি?
‘তুইও দেখছি ড্যাডির মতো কথা বলিস!’ গম্ভীর হয়ে উঠল প্রিহান, এই বুঝি তো ভালোবাসার নমুনা? ঠিক আছে এবার ফোনটা রাখ।
সংযুক্তা ব্যস্ত হয়ে বলতে চাইল, প্রিহান শোন..শোন, তুই ভুল বুঝিস না..
ততক্ষণে ফোনটা কেটে দিয়েছে প্রিহান।
Write a comment ...